ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া আখানগর এলাকায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীকে ৫ যুবক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন বলে ওই কিশোরী অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা ৫ জনকে আসামি করে রুহিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মনজুরুল (২৩), হোসেন আলী (৩২), মানিক আলী (৩৪), মামুন রহমান (২৫) ও আশরাফুল ইসলাম (২৬)।
পুলিশ ধর্ষক মনজুরুলকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে। মনজুরুল ঢোলার হাট ইউনিয়নের মাধবপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার তোফাজ্জলের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া আখানগর কেরানিপাড়া এলাকার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী তার খালাতো ভাইয়ের সাথে পূজামন্ডপ থেকে ফেরার পথে ৫ জন যুবক তাদের পথরোধ করে। পরে তারা কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঢোলারহাট চোপড়াাপাড়া মিশনের পাশে নিয়ে গণধর্ষণ করে।
এ সময় কিশোরী অজ্ঞান হয়ে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি সে তার পরিবারকে জানায়। শনিবার ওই কিশোরী ও তার বাবা রুহিয়া থানায় এসে ওই ৫ যুবকের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আকরাম হোসেন জানান, নির্যাতিত কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল