আশুলিয়ার দোসাইদে বেড়ানোর কথা বলে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি ইস্রাফিলসহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সেই দুই আসামি হলো গুদাম ঘরের নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও পলাশ মাহমুদকে (৩৫)।
শনিবার ভোরে এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এখনও পলাতক রয়েছে মামলার আরেক আসামি শরীফুল ইসলাম ।
পুলিশ সূত্র জানায়, আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের মামলার মূল আসামি ইস্রাফিলসহ পলাশ মাহমুদ এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদেরকে সিনিয়ার জুডিসিয়াল হাকিমের আদালতে প্রেরন করা হয়।
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের রাষ্ট পক্ষে প্রসিকিউটার এস আই আতিকুর রহমান খান। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই মামলার যেহেতু আরও আসামি আছে তাই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের শিকার সেই পোশাক শ্রমিককে আশুলিয়ার দোসাইদ ঈদগাহ মাঠ এলাকায় নিয়ে আসে ইস্রাফিল। সেখানে একটি পরিত্যাক্ত গোডাউনে ২ নিরাপত্তাকর্মীর সহযোগিতায় তাকে ধর্ষন করে। পরে ওই তরুণী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন কাছে বিচার চাইলে পাচঁশত টাকা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ ৪ দিন পর ওই পোশাক শ্রমিককে খুঁজে বের করে ও চার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিনই ইস্রাফিলসহ পরিত্যাক্ত গোডাউনের নিরাপত্তাকর্মী পলাশ মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর