বগুড়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা শিশুসহ রোহিঙ্গা মা-মেয়েকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের নিয়ে পুলিশ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
বগুড়ার পুলিশ তাদের কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পাসপোর্টের জন্য কক্সবাজার থেকে বগুড়ায় এসে ধরা পড়েছিল রোহিঙ্গা তরুণী, তার মা এবং পাঁচবছরের শিশু সন্তান।
জানা গেছে, ভূয়া জন্ম নিবন্ধন ও জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করে বুধবার বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে এসে প্রথমে ধরা পড়েন রোহিঙ্গা তরুণী হাজেরা বিবি (২২)। পরে তার মা রমিজা বিবি (৪০) এবং পাঁচ বছরের শিশুপুত্র ওসমান গনি। তাদেরকে আটক করে সদর থানা পুলিশ হেফাজতে রাখে।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আছলাম আলী জানান, পুলিশের হেফাজতে থাকা একই পরিবারের তিন সদস্যকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে পুলিশ রওনা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ ও বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে এক নারী গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরন করে পাসপোর্টের ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে আসেন। আবেদনের সঙ্গে ওই নারী জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দেন।
বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাহাজাহান কবির জানান, আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার আগে পাসপোর্ট আবেদনকারীর নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়। এ সময় নাম ছাড়া ওই নারী কিছুই বলতে পারছিলেন না। আবেদনকারির ভাষা এবং আচরণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলে সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি নিজেকে মেয়েটির আত্মীয় এবং মেয়েটি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দাবি করেন। কিন্তু আচরণে মেয়েটিকে রোহিঙ্গা নারী সন্দেহ হলে বিষয়টি যাচাই করে দেখার জন্য বগুড়া সদর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সন্দেহভাজন ওই রোহিঙ্গা নারীকে থানায় নিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা