নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাসভবন থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাতপাই বাবলু স্মরনী রোডের নিজ বাসভবনের তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরা হলেন কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিহির কান্তি বিশ্বাস (৬৫) ও স্ত্রী সমাজসেবা কার্যালয়ের মাঠকর্মী সহিতা চন্দ তুলিকা (৪৮)।
এলাকাবাসী ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার থেকে বাসার বারান্দার গ্রীলে বাইরে থেকে তালা ঝুলানো থাকায় কেউ খোঁজ করেন নি। সকলেই ভেবেছেন হয়তো তারা বাইরে কোথাও আছেন। গৃহপরিচারিকা জয়া রানী ও পাশ্ববর্তী ঘরের ভারাটিয়া রাজিব পন্ডিত দু'দিন ধরে ডেকে না পেয়ে সন্দেহ হলে আজ প্রতিবেশীসহ স্বজনদের খবর দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার স্বজনরা আসলে প্রতিবেশীসহ তারা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে পৃথক কক্ষে দু'জনের লাশ দেখতে পায়।
পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে খুনের ঘটনা বলেই ধারনা করছে পুলিশ। নিহত দম্পতির সুমন বিশ্বাস নামের এক ছেলে ও সুমি বিশ্বাস নামের এক মেয়ে রয়েছেন। তারা ঢাকায় অবস্থান করেন। খবর পেয়ে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম, সদর সার্কেল এসপি সানোয়ার হোসেন, সদর থানার ওসি আমীর তৈমুর ইলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহিত মিহির কান্তির ভাই সমীর কান্তি বিশ্বাস বলেন, ঘরের ভেতরের পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে ডাকাতির ঘটনা। হয়তো চিনে ফেলায় তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি খুনের ঘটনা। এর আগেও নেত্রকোনায় যতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সবগুলোরই আসামী ধরতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি এই ঘটনার সাথে জড়িতরা দ্রুত ধরা পড়বে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল