ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রসুলপুর বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন প্রভাব খাটিয়ে ২৭টি দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করেছে। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দোকান ঘর উত্তোলন করা হলেও দেখেও না দেখার ভান করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অভিযোগে জানা গেছে, নগরকান্দা থানাধীন ১০৫নং ধুতরাহাটি মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীগ্রহনকৃত ১১,১২,১৩,১৪,১৫,২০ ও ২১ দাগের ৩৭.৮৮ শতাংশ জমি ডিসিআর কেটে ভোগ দখল করে আসছেন আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ডিসিআর কেটে এই জমি ভোগ দখল করে চলছেন। এরই মাঝে কুদ্দুস মোল্লা সেই জায়গায় মার্কেট নির্মাণের জন্য সিমেন্টর খুটি দিয়ে পিলার নির্মান করে রাখেন। নদী খননের কথা বলে গত বছর কুদ্দুস মোল্লাকেও লিজ দেয়া হয়নি। এরই মধ্যে এলাকার প্রভাবশালী লোকজন সেই নির্মানকৃত জায়গায় থেকে ঘর নির্মান শুরু করে।
এ ব্যাপারে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা জানান, এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে মুছা, আইয়ুব, রকমান কাজী ও সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে সেখানে তার নির্মাণকৃত জায়গার উপর মার্কেট নির্মান শুরু করেছে। এখন তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে সেই জায়গাই যেন তারা আর না আসে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েই কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
রসুলপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সেলিম হোসেন জানান, জমির ব্যাপারে আমি সংসদ উপনেতার ডিও লেটার নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রাণলয়ে জমা দিয়েছি। সেখান থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রী ডিজিকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এখন যেহেতু মানা করেছে সেহেতু আমরা আর ঘর নির্মাণ করব না।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিখিল কুমার দত্ত জানান, আমরা যখনই খবর পেয়েছি যে ওখানে নতুন করে বাজারের একটি পক্ষ ঘর তুলছে সঙ্গে সঙ্গে অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে ঘর তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে তাহলে আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো বলেন, নদী খনন হবে যে কারণে লিজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। এই জন্য কারো কাছ থেকে নতুন করে লিজের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার