সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউপির বড়কয়ড়া গ্রামে শত্রুতাবশত দুর্বৃত্তরা গোয়াল ঘরে পেট্টোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সাতটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।। একটি গরুর অসুস্থ অবস্থায় বেঁচে রয়েছে।
রবিবার ভোররাতের দিকে এঘটনা ঘটে। পরিবারের একমাত্র সম্বল প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাতটি গরু হারিয়ে কৃষক জালাল উদ্দিন ও তার ভাই আব্দুল কাদের নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিবার দুটি পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বড়কয়ড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, দুই ভাই আটটি গরু পালন করে সংসার চালাতাম। দুই ভাইয়ের আটটি গরু এক গোয়াল ঘরে রাখা হতো।
রবিবার ভোররাতে শত্রুতাবশত দুর্বৃত্তরা পেট্টোল দিয়ে গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বড় ভাই জালালের স্ত্রী নাসিমা খাতুনের চিৎকারে পরিবার লোকজনসহ এলাকাবাসী ছুটে আসেন। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাদের দুই ভাইয়ের সাতটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একটি গরু অর্ধেকাশং পুড়ে গেছে। এতে দুইভাই চরম ক্ষতিতে পড়েছি।
কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, গরুগুলোই সম্বল ছিল আমাদের দুই ভায়ের। সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় ছোট ভাই জিলানী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র দুই ভাই।
কাওয়াকোলা ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান টি.এম. শাহাদত হোসেন ঠান্ডু জানান, গরুগুলো পুড়িয়ে হত্যা করা খুবই নৃশংসতম ও জঘন্যতম কাজ। এ জন্য দায়ীদের শাস্তি হওয়া উচিত। পাশাপাশি নিঃস্ব দুই ভাইকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার দাবীও জানান তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান