আবরো সিলেটে নিজ দলের ক্যাডারদের হাতে প্রাণ ঝরলো এক ছাত্রলীগ কর্মীর। এবার এ খুনের ঘটনায় আলোচনায় ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপ। ঘটনাও টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন রাজমহল সুইটস'র সামনেই। রবিবার রাত ৯টার দিকে টিলাগড়ে খুন হয় ছাত্রলীগকর্মী তানিম খান। সে টিলাগড়ে ছাত্রলীগের জেলা আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে টিলাগড়ে রাজমহল সুইটস'র সামনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল তানিম। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করেই একদল যুবক তানিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন যায়গার ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তানিমকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যায় সে।
এদিকে তানিম খুনের খবর পেয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। ঘটনার পর নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তানিমের সহকর্মীরা জানান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের অনুসারী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরীর গ্রুপের কর্মী সাদিকুর রহমান আজলা এবং জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডের নেতৃত্বে তানিমের উপর হামলা হয়। তারা আরো জানান- এরআগেও দু’বার টিলাগড়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছিল।
এদিকে গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্র্ষিকীর দিনে টিলাগড়ে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তানিমের সহমকর্মীদের।
তানিমের সহকর্মী ছাত্রলীগ নেতা আলতাফ হোসেন মুরাদ বলেন, গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে এমসি কলেজে আয়োজিত বর্ণ্যাঢ্য অনুষ্ঠান পন্ড করার চেষ্টা চালায় রায়হান গ্রুপের কর্মীরা। সেদিন ব্যর্থ হওয়ায় এর জের ধরেই তারা তানিমের উপর হামলা করে তাকে খুন করেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু বলেন, গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের রায়হানের অনুসারীরা। এদিন ছাত্রদলের ভাড়াটিয়া, বহিরাগত এনেও কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারায় তারা তানিমের উপর হামলা চলিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার