নাটোরে অবিরত কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা কমছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকদিন থেকে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতে আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন। বিশেষ করে তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। কনকনে ঠান্ডায় নাটোর আধুনিক হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগির সংখ্যা। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগি ভর্তির তালিকা। এসব রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, গত ২ জানুয়ারি থেকে হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি কমছে তাপমাত্রা। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে। গত বুধবার চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেটি নীচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
নাটোর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন এবং ঔষুধ মজুদ রয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিস্ট চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে ভুগছে। এসময় তাদেরকে অধিক যত্নে রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার