আশুলিয়ায় নারী শ্রমিক গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে সেই নারী শ্রমিকের ধর্ষক প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে বখাটেরা ওই তরুনীকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণের পর জিরানী এলাকায় ফেলে রেখে যায়। আটককৃত ধর্ষক রাসেল মিয়া (৩২) বগুড়া জেলার সাড়িয়াকান্দি থানার কামালপুর গ্রামের আলা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও ধর্ষিতার পারিবারিক সুত্র জানায়, সেই নারী শ্রমিক ভাদাইল এলাকায় বাবা-মা ও ছোট বোনকে সাথে নিয়ে বাড়া বাড়িতে থেকে জামগড়া এলাকার মৃধা ম্যানশনে চুল দিয়ে মাথার ক্যাপ তৈরীর নর্থ হেয়ার বিডি কোম্পানী লিঃ নামের কারখানার সহকারী অপারেটর পদে কাজ করত। তবে বেশ কয়েক মাস যাবত গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার রাসেল মিয়া নামের এক পোশাক শ্রমিকের সাথে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সোনিয়ার।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে বেতন উত্তোলনের কথা বলে বেরিয়ে যায় সোনিয়া। রাতে বাসায় না ফেরায় এবং সাথে থাকা মুঠোফোনটির সংযোগ বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা বিভিন্ন স্থানে খোজতে থাকে সোনিয়াকে। এরপর সর্বশেষ রাত ১০টায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া সোনিয়াকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী এলাকায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে সোনয়িার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষক প্রেমিক রাসেলকে আটক করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারী শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষিতার প্রেমিক রাসেল ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে গাজীপুরের নিয়ে গনধর্ষন করেছে। ধর্ষকরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বলেছিল। এঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর