নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির সমর্থিত ২ কাউন্সিলরসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলা তথ্য জানায়। এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটী দায়ের করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানকে আটক করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাশকতার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। বাবুল প্রধান ওই নাশকতা মামলা মামলার ৯নং আসামী বলে জানিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম।
মামলার আসামীরা হলেন, নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০), সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের দুই পুত্র কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল (২৯) ও সানবির (২৭), যুবদল নেতা মোক্তার (৩৫), মোক্তার হোসেন মুক্তুল (৩২), মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল প্রধান (৪০), সোহেল (৩৫) মনিরুজ্জামান মনির (২৮), থানা বিএনপি নেতা বাবুল প্রধান (৫০) ও রওশন (৫০) সহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উক্ত আসামীরা ৮ তারিখ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক ধনু মার্কেটের সামনে গাড়ি ভাংচুর করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে শ্লোগান দেয়। এসময় পুলিশ বাধা দিতে গেকে পুলিশকে ইট পাটকেট নিক্ষেপ শুরু করে। ইটের আঘাতে হানিফ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে তাদের নিভৃত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায় এবং তাদের হাতে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে যায়। উক্ত ব্যাগ থেকে ৫টি লাল কচটেপ মোড়ানো ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়।
আহত হানিফকে চিকিৎসা প্রধান শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নাশকতার অভিযোগে বাবুল প্রধান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার