একসময় যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি, দালালদের দৌরাত্ম ও টাকা ছাড়া কাজ হত না, সেই খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের চিত্র এখন ভিন্ন। কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে, বেড়েছে সরকারি রাজস্ব।
জানা যায়, খুলনায় পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট করতে সরকারিভাবে ৩৪৫০ টাকা খরচ হওয়ার কথা থাকলেও দালাল ও অসাধু কর্মচারীদের মাধ্যমে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হত।
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনোয়ার আহমেদ জানান, কিছুদিন আগেও ফরমপূরণ, যাচাই, সত্যায়ন, ছবি তোলা ও পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তবে পরিস্থিতি এখন বদলেছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় দালালমুক্ত পরিবেশ, হেল্পডেক্স, ও পূরণকৃত নমুনা ফরম দিয়ে পার্সপোর্ট গ্রহিতাদের সহায়তা করা হচ্ছে। আবেদনকারীদের দ্রুততম সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ। গত ২০১৬ ও ২০১৭ সালে খুলনা পাসপোর্ট অফিস থেকে মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট (এমআরপি) ইস্যু হয়েছে প্রায় ৯৭ হাজার। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা।
খুলনা পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ বলেন, আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার পরপরই তা’ যাচাই করে একদিনেই ছবি তোলা হয়। এরপর দাপ্তরিক কাজ শেষে দ্রুত সময়ে পার্সপোর্ট সরবরাহ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার