গঠনতন্ত্র ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৭ মার্চ সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সাতক্ষীরা আইনজীবি সমিতির এ্যাডভোকেট আব্দুল বারীকে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও এ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ও এ্যাডভোকেট কাদির হোসেন ময়নাকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১ টার সময় সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব কথা জানান সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির আহবায়ক সাবেক কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. গোলাম মোরশেদ।
এসময় আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন,আলমঙ্গীর হাসান,শাহজাহান কবির, এ কে এম মোতাহারুল হক, সমিতির সদস্য সাবেক সভাপতি সাইফুল কবির সাবুসহ বেশ কিছু সদস্য ও পরিবহন মালিক উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির আহবায়ক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদ তার লিখিত বক্তব্যে জানান, কমিটির সাবেক সভাপতি আবু আহম্মেদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য সড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রেস ব্রিফিং এর নামে মিথ্যা ও ভূল তথ্য গনমাধ্যমে সরবরাহ করে পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য, জনসাধারন সহ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মোরশেদ আরও জানান,২০১৪ সালের ১২ জুন সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর কমিটির মেয়ার উক্তীর্ণ হয়। কিন্তু মেয়াদের ৪৫ দিন পূর্বে কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন কার্যক্রম না করায় যুগ্ন শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স খুলনা গত বছর ৩১ অক্টোবর ৪০.০২.০০০০.১০৩.৩৪.১১.২০১৪-২১২৫/১(৩) নম্বর স্মারকে নিদিষ্ট মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু নির্বাচন সম্পন্ন না হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হবে। তার প্রেক্ষিতে আমি গোলাম মোরশেদ সাধারন সম্পাদক হিসেবে সাধারন সভার আহবান করি। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করে তৎকালিন সভাপতি আবু আহমেদ অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় থাকার জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের নামে ৯ সদস্যের একটি ভূয়া কমিটির তালিকা শ্রম দফতরে দাখিল করেন। শ্রম পরিচালক ওই কমিটির বৈধতা না দেওয়ায় সমিতির সদস্য আসাদুল হক যুগ্ন শ্রম পরিচাকের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে হাই কোটে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। ফলে সমিতির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে সমিতির সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শরনাপন্ন হয়ে ২০৭ অফ ২০১৮ রিট পিটিশন দাখিল করলে সুপ্রিম কোটের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্জ উক্ত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ গত ২৫ জানুয়ারী স্থগিত করেন। এর ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৯ ও ২০ ধারা মোতাবেক সভাপতি আবু আহম্মেদের অনুমতি ক্রমে প্রশাসনের উপস্থিতিতে ২৪ ঘন্টার নোটিশে ৩ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়। সভায় ১৯৩ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহি স্বাক্ষর করে রেজুলেশনের মাধ্যমে গোলাম মোরশেদকে আহবায়ক করে ৫ সদসের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই মোতাবেক সমিতির কার্যক্রম গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলছে। আগামি ১৭ মার্চ সমিতির দেওয়া নির্ধারিত তারিখেই নির্বচন সম্পন্ন হবে বলে জানান সমিতির আহবায়ক গোলাম মোরশেদ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার