স্বামী মারা গেছেন বছর খানেক। দুই মেয়ে আর নিজের তিন বেলা ভাতের ব্যবস্থা করাই কঠিন। এর ওপর রয়েছে দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। অর্থ কষ্টে আর যেন চলছিল না তার জীবন। রয়েছে দেনার চাপ,আর তাই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছেন জীবন যুদ্ধে পরজিত খাদিজা বেওয়া (৩৮)।
আজ ঘটনাটি ঘটেছে বুড়িমারী-লালমনিরহাট রেলরুটের আদিতমারী লাল ব্রিজ এলাকায়। খাদিজা বেওয়া উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি গ্রামের মৃত লাভলু মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয় খাদিজার। এরপর থেকে তার রেখে যাওয়া দেড় দোন (এক দোনে ২৭ শতাংশ) জমির ফসল থেকে যা আসে তা দিয়ে দুই মেয়ের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন খাদিজা। সংসার চালানো ও মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে গিয়ে দেনা হয়েছে অনেক। এতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। রবিবার সকালে মেয়ের স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বোরকা পড়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে লাল ব্রিজ এলাকায় গিয়ে বুড়িমারী থেকে পার্বতীপুরগামী চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুল কাদের মিন্টু জানান, দেনার ভার সইতে না পেরে বিধবা খাদিজা চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাড় দিয়ে আত্বহত্যা করেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার