কুমিল্লার রাণী ময়নামতি প্রাসাদ প্রত্নস্থলে ১৩শ' বছরের প্রাচীন প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রী দেখলো দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।সোমবার কুমিল্লার ময়নামতি এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রাচীন সামগ্রীগুলো দেখে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন জানান,৭ম-১২শ' শতকে এখানে একটি শিক্ষালয় গড়ে উঠেছিল। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যায়। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এখানে খনন কাজ করা হয়। এতে একটি মন্দির ও সীমানা প্রাচীর উন্মোচিত হয়। প্রত্নস্থলের উত্তর পশ্চিম অংশে ২০১৬ সালে পুনরায় খনন শুরু হয়, যা এখনও চলমান রয়েছে। চলতি বছর চার লাখ টাকা ব্যয়ে খনন কাজ করা হয়। খননে পাওয়া যায় জীবাশ্ম কাঠ, জীবাশ্ম কাঠের তৈরি হাতিয়ার, মাটির কলস, হাড়ি, বাটি, পিরিচ, পানিরপাত্র, বড় গামলা, ঢাকনা, লোহার পেরেক, কাস্তে ও শাবল প্রভৃতি। প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বাড়াতে প্রত্নস্থলে খননে পাওয়া সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়।
ময়নামতি রুফিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তফা ফাহাদ রাকিন ও জয়ন্তী সরকার বলেন, অতীতে মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র দেখে তাদের ভালো লেগেছে। তারা অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছে।
রুফিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মো. ইসমাঈল ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সেলিম ভুইয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রত্নস্থলে খননে পাওয়া সামগ্রী দেখে দারুণ উৎফুল্ল। তারা প্রাচীন বিভিন্ন জিনিস চোখের সামনে দেখে শুধু জানতে চাইছে। এ আয়োজনটি তাদের অনেক সমৃদ্ধ করবে।
এ প্রতিষ্ঠানটিসহ ময়নামতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ময়নামতি মিশন স্কুল, ময়নামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রী দেখতে আসে।
আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন আরও বলেন, প্রত্নস্থলটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করা হবে। টিকেটের ব্যবস্থা করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা