রাঙামাটিতে মাদকের অপব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম। আজ সকাল ১১টায় রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এসময় রাঙামাটি জেলা সহকারি তথ্য কর্মকর্তা মো.আব্দুল সালাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সৈয়দ মাহবুব আলম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি মাদক বিক্রি সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সময় ছেলেদের মধ্যে মাদক সেবন প্রবণতা দেখা যেত। এখন মেয়েরা মাদক আসক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের এ প্রবণতা বেশি। এ উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে পরিবারে অসচেতনাতা। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলের দূর্গম এলাকাগুলোতে উঠতি বয়সের নারী-পুরুষ সহজে মাদক আসক্ত হচ্ছে। কারণ এখনো পাহাড়ি পল্লীগুলোতে কাদের ঐতিহ্য হিসেবে চোলাইমদের ব্যবহার রয়েছে। অনেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার এসব থেকে বেড়িয়ে আসলেও এখনো অনেক পাহাড়ি পল্লী আছে যে খানে গোপনে চোলাইমদ বিক্রি করে। যার কারণে তাদের ছেলে-মেয়েরা এসব নিষিদ্ধ মাদকে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই রাঙামাটিকে মাদকমক্ত করতে হলে সকল জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদক বিরুদ্ধি অভিযানে নামতে হবে এবং মানুষের মধ্যে গণ সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসেরে এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, রাঙামাটিতে প্রতি ছয় মাসে ৪০ জনের অধিক আসামিকে মাদক সেবন ও বিক্রি অভিযোগে দন্ড দেওয়া হয়। এসব আসামীদের মধ্যে বেশির ভাগ চোলায় মদ, গাঁজা ও জোয়ার অভিযুক্ত। এছাড়া বিভিন্ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাড়া, মহল্লা ও মাদক ব্যবসার চিহ্নিত এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তারপরও এ মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার