পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেছেন, সবচেয়ে বেশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য। তারা নিজের জীবন বাজি রেখে কর্তব্যকে বড় করে দেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্রত থাকে। জাতির দুর্দিনে পুলিশ সবার আগে এগিয়ে আসে। দেশ স্বাধীনের সময় মহান মুক্তিযুদ্ধেও পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। সেদিন রাজারবাগে পুলিশই প্রথম শত্রুদের উপর গুলি চালিয়েছিল। বিশ্ববাসীর কাছে ওয়ারলেসের মাধ্যমে জানিয়েছিল রাতের আধারে নিরস্ত্র ঢাকাবাসীর উপর পাকসেনাদের হামলার কথা। পুলিশ প্রতিটি উৎসবে নিজের পরিবারের সদস্যদের পাশে না থেকে সাধারণ জনতার জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে সাধারণ মাানুষের উৎসব পালনে সহায়তা করে। জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করতে এবং আইন শৃক্ষলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশই সবার আগে কাজ করে থাকে। তাই এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্যের জীবন দিতে হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তারা জীবন দিতেও পিছপা হয়নি তাই সেই সমস্ত নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মানে পুলিশ মেমোরিয়ালডেতে জেলার ৮টি পুলিশ পরিবারকে সম্মানিত করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।
তিনি আজ জেলা পুলিশ লাইন্সের মিলনায়তনে পুলিশ মেমোরিয়ালডে ১৮ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এতে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম'র সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের (অবসরপ্রাপ্ত) ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, ডিডিএলজি সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আশফাকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীনগর সার্কেল কাজী মাকসুদা লিমা, সিরাজদীখান সার্কেল সিঃ সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, এসপি হেড কোয়াটার্স রাজিবুল ইসলাম, এ্যাড লাবলু মোল্লা, ডিআইও (১) নজরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি ওসি ইউনুচ আলী, সদর থানা ওসি আলমগীর হোসাইন, টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, গজারিয়া থানার ওসি হারুন অর রশিদ, সিরাজদীখান থানার ওসি আবুল কালাম, শ্রীনগর থানার ওসি আলমগীর হোসেন, লৗেহজং থানার ওসি আনিস মিয়া, টি আই প্রশাসন শেখ শাহাদাত আলীসহ জেলায় কর্মরত সকল ইন্সপেক্টর, অফিসার্স ফোর্স, সাংবাদিক বৃন্দ। এসময় পুলিশে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা ৮ পরিবারকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন