পানগুছি নদীতে সেতু ও সুন্দরবনকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে শরণখোলায় মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ অংশ নেন।
সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে বক্তারা বলেন, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১০ লাখ মানষের বসবাস। পানগুছি নদীর খেয়া ও ফেরি দিয়ে জীবনের ঝুুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে পারাপার হতে হয়। প্রতিদিন লোকাল পরিবহনের বাসসহ দূরপাল্লার শতাধিক বাস এবং শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলা করে। খরস্রোতা এ নদী পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০১৭ সালের মার্চে খেয়া পারাপারের সময় ২১ যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। এছাড়া, প্রতিদিন ঘটে চলেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
তারা আরও বলেন, উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উন্নয়নের দিক থেকেও অনেকটা পিছিয়ে। এর একমাত্র অন্তরায় হলো পানগুছি নদীতে সেতু না থাকা। সেতুটি নির্মাণ হলে সুন্দরবনের শরণখোলায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ সহজ হতো। সেতু নির্মাণ ও পর্যটন কেন্দ্র হলে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি হবে।
মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শরণখোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক বাবুল দাস, শেখ মোহাম্মদ আলী, আ. রাজ্জাক তালুকদার, উন্নয়ন সংস্থা উদয়ন বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান শেখ, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন খান, ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল আহসান শিমুল গাজী, উপজেলা স্বেচ্ছ্বাসেবক লীগের আহবায়ক রোকনুজ্জামান বিপ্লব, যুবলীগ নেতা ইমরান হোসেন রাজীব প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/২ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা
