প্রেম করে চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন মমতা খাতুন (২৬)। পরিবার মেনে না নেয়ায় স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। চার বছর পর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাবা-মা মেনে নিলেও মমতার এ বিয়ে চাচা আমির হোসেন মানতে পারেননি। পুরোনো সেই ক্রোধ থেকে ভাতিজিকে খুন করেছেন চাচা। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আজ শুক্রবার ঘটেছে এ ঘটনা।
মমতা খাতুন সলঙ্গা থানার রানীনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আব্দুল মজিদ মন্ডল এবং স্বামীর নাম ছানোয়ার হোসেন। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে মমতাকে কুপিয়ে আহত করেন চাচা আমির হোসেন। বেলা ১২টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে মমতা খাতুন প্রেম করে একই গ্রামের মোজাম মন্ডলের ছেলে ছানোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে মেয়ের পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ঢাকায় অবস্থান করছিল। দীর্ঘদিন পর মমতার পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নিলেও চাচা আমির হোসেন মানতে পারেননি। শুক্রবার সকালে মমতাকে পেছন থেকে চাচা আমির হোসেন কুড়াল দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মমতাকে বাঁচানো যায়নি।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আরো জানান, বগুড়া শজিমেকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা