ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম খায়রুজ্জামান বতু মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাযা শেষে শুক্রবার দুপুরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌর এলাকার মদিনাতুল উলুম ইসলামীয়া মাদরাসা মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরহুমের নিজবাড়ি সংলগ্ন নগরকান্দা পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এলাকার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাযার নামাজে অংশ নেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেএম জাহাঙ্গীর, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া, জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, নগরকান্দা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক, নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র রায়হান উদ্দিন মিয়া, নগরকান্দা পৌরসভার সাবেক মেয়র আলিমুজ্জামান টুলু মোল্যা, সরকারি নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ আবু বকর মিয়া, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন নিলু, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান মিয়া, নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান আনিস, নগরকান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ, নগরকান্দা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজান বাবু সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
একেএম খায়রুজ্জামান বতু মিয়া বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকাল ৮টায় ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
একেএম খায়রুজ্জামান বতু মিয়া ১৯৮৫ সালে নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীক) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন