বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত সড়ক ও জনপথ কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবরে ঠিকাদারের করা তথ্য অধিকার আইনে অভিযোগ করে গাছ কাটা, পুকুরের মাছ বিক্রি এবং কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামদি ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কী-না তা জানতে চেয়ে আবেদন করেছে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল শুক্রবার বগুড়ায় আসবার কথা রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বগুড়ার সান্তাহারের কারখানা বিভাগের নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, কারখানা এলাকায় বেশকিছু বৃক্ষছিল। এই বৃক্ষগুলো সাম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে কাটা হয়েছে। বৃক্ষগুলো কাটার সময় কোন নিয়ম পালন করা হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে গাছ কাটার পর তা জ¦লানি হিসেবে ইটভাটায় দেয়া হয়েছে। কারখানার চত্বরের পুকুরে মাছ ছিল। সেই মাছও বিক্রি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে দুই দফায় প্রায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও সে অর্থ দিয়ে কি কাজ হয়েছে তা জানা নেই কারো। একই বিষয়গুলো নিয়ে বৃক্ষ বিক্রি, মাছ বিক্রি, সরকারি বরাদ্ধ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কি না এবং তা নিয়ম মাফিক করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে বগুড়ার সান্তাহারের দোয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রধান লোছমী প্রসাদ একটি অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত দল সান্তাহারে আসছে।
ঠিকাদার লোছমী প্রসাদ জানান, তথ্য অধিকার আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামদি ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন কি না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কারখানা বিভাগের কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা হয়েছে। শুক্রবার একটি তদন্ত দল আসছে বিষয়গুলো তদন্ত করতে।
সড়ক ও জনপথ কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই অভিযোগপত্রে উল্লেক করা অভিযোগগুলো পুরোটায় মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, ঝড়ে ডালপালা ভেঙে যাওয়ায় কিছু গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু ঢালাওভাবে যেসব বলা হয়েছে তা মোটেও ঠিক না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার