জেলার চিরিরবন্দরে ইছামতী নদীতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেছে। এতে প্রতিদিন ওই এলাকার শত শত মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। উপজেলার আলোকডিহি ও সাতনালা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীতে তারকসাহার হাটের কাছে হেদলের ঘাটে ২৫০ ফুট দীর্ঘ এ সাঁকো সম্প্রতি পানির স্রোত আর কচুরিপানার চাপে ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানান, এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ওই এলাকার বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ি হাট, তারকসাহার হাট, মডেল স্কুল, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, রানীরবন্দর মহিলা কলেজ, রানীরবন্দর হাট, রানীরবন্দর সুইহারি বাজারে যাতায়াত করত এলাকাবাসী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বাজার-ঘাটসহ নানা কাজের জন্য এখান দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, তারকসাহার হাটের কাছে পূর্বে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের মধ্য আলোকডিহি এবং পশ্চিম প্রান্তে সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা গ্রাম যুক্ত করেছিল ইছামতী নদীর ওপর এ সাঁকো। দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে বাধা দূর করতে এলাকাবাসী বাঁশ সংগ্রহ ও অর্থ তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছিল এটি। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তোড়ে ও কচুরিপানা আটকে ২৫০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন হচ্ছে। বিকল্প না থাকায় এ এলাকার মানুষকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজ মোড় হয়ে ঘাটের পাড়ের সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
হেদলের ঘাটে মকবুল হোসেন (৫৫), রহিদাস রায় (৫৮), পুলিন চন্দ্র রায় (৫০), সাতনালা ইউপি সদস্য আজিজার রহমানসহ (৫৮) স্থানীয়রা জানান, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা খুব ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ কলার ভেলায় পারাপার হচ্ছেন।
চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, উজান থেকে আসা কচুরিপানা এসে নদীর ওই স্থানে থাকা বাঁশের সাঁকোতে বাধা পেয়ে জমা হচ্ছিল। কচুরিপানার সঙ্গে স্রোতের অতিরিক্ত চাপে সাঁকোটি ভেঙে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেহা তুজ জোহরা ক্ষতিগ্রস্ত সাঁকোর স্থান পরিদর্শন করেছেন। তার দিকনির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সাঁকো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।