সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ তদন্তের অভাবে সাংবাদিক জামাল হত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে রাঙামাটির সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, দীর্ঘ ১১বছর ধরে সংবাদিক জামাল হত্যাকান্ডের মামলাটা আদালতে বিচারধীন থাকলেও তার কোন কূল কিনারা হয়নি। হয়নি কোন সুষ্ঠ তদন্ত। এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মূল খুনিরা। তাই বিচার প্রশাসনের উপর আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন পাহাড়ের সাংবাদিক সমাজ।
আজ রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক জামাল হত্যার ১১বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় স্থানীয় সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটির সম্পাদক মো. আনোয়ার আল হকের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমা, দৈনিক জনকন্ঠ জেলা প্রতিনিধি মো. আলী, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো. কামাল উদ্দীন, দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের জেলা প্রতিনিধি মো. দীপ্ত হান্নান ও নিহত সাংবাদিক জামালের ছোট বোন সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু প্রমুখ।
স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, শুধু রাঙামাটির সাংবাদিক জামাল ও ঢাকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সাংবাদিক খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তার মধ্যে একটারও বিচার হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের বিরুদ্ধে মূল অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে চার্জশিট দেওয়া, দুর্বল অভিযোগ উত্থাপন এবং চার্জশিটভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার না করার অভিযোগও রয়েছে। বক্তরা বলেন, সাংবাদিকতার পেশায় নিয়োজিত থাকা অবস্থায় জামালকে দুর্বৃত্তরা নৃশংস ভাবে হত্যা করে। সেই সময় পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে জামালের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন কথাও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। যার কারণে এ হত্যাকান্ডের বিচার অন্ধকারে থেকে যায়।
বক্তারা অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব সাংবাদিক জামাল হত্যার সুষ্ঠু বিচার করে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ৫ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার পর ৬ মার্চ তার লাশ পাওয়া যায়। সাংবাদিক জামাল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হন। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তার পরিবার। তিনি বেসরকারি টিভি চ্যানাল এনটিভি, স্থানীয় দৈনিক গিরিদর্পণের বার্তা প্রধান ও দৈনিক বর্তমান বাংলা, বার্তা সংস্থা আবাসে রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার