প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, কারা ওদের নাগরিক, কীভাবে নাগরিক হবে না হবে- এটা মিয়ানমারের ব্যাপার।আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দশ লক্ষ রোহিঙ্গা এখানে এসেছে। ওদের দায়িত্ব বাংলাদেশের নয় মিয়ানমারের। সারা পৃথিবীর ওপেনিয়ন ক্রিয়েট করে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেব। এ ব্যাপারে কোন চিন্তা নেই।
আজ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার মমিন নগরে অবস্থিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফিরদাউস নাসির ট্রাস্ট চেরিটেবল হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সকাল দশটার দিকে গওহর রেজভী হেলথ্ কমপ্লেক্সে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান ফিরদাউস নাসির ট্রাস্ট চেরিটেবল হেলথ্ কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান আলী গওহর রেজভী। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন, মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন খান, মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপক এজাজ সিদ্দিকী প্রমুখ।
উপদেষ্টা গওহর রেজভী বলেন, কফি আনানের একটি রিপোর্ট আছে, সেখানে পরিষ্কার করে বলা আছে মিয়ানমারে ওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ইউনাইডেট নেশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আইওএমসহ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারে নিরাপত্তার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেই ওরা সেখানে ফিরে যাবে।
রোহিঙ্গার থাকা খাওয়ার বিষয়ে গওহর রেজভী বলেন, এরা তো শুধু দশ লক্ষ। আমরা তো এক সময় এক কোটিরও বেশি শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, আমরা যদি ষোল কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি তাহলে আর দশ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবো না কেন। এটা তো মানবিক ব্যাপার। এদের আশ্রয় দেয়ায় বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়ার রিপোর্টের বিষয়ে গওহর রেজভী বলেন, যেখানে সংসদ রয়েছে, যেখানে নির্বাচন হচ্ছে, স্বাধীন বিচার বিভাগ কাজ করছে, স্বাধীন সাংবাদিকতা রয়েছে এটা যদি গণতন্ত্র না হয়। তাহলে গণতন্ত্র কাকে বলে। আর ওরা কিসের ভিত্তিতে বলেছে- এটা গণতন্ত্র নয়, ওরা কি আামদের সঙ্গে আলাপ করেছে, ওরা কী তথ্য যোগার করেছে। ওরা কিভাবে এই রিপোর্ট দিয়েছে। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে গওহর রেজভী ঢাকার উদ্দেশ্যে গোড়াই ত্যাগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার