সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যুবলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করে হামলাকারী যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ ঘটনায় শহরব্যাপী টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় নিউমার্কেট এলাকায় শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মীর শাহিন, যুবলীগ নেতা বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা তৌকিরসহ ৮ জন।
পৌর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল কাদের জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট সংলগ্ন আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা চলছিল। এসময় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়। সভাস্থলে পৌছে মান্নান স্টেজে উঠে মাইক কেড়ে নিয়ে বলে আজ থেকে খেলা শুরু। আমার বিরুদ্ধে যারা মিছিল-মিটিং করছে, তাদেরকে এখন খেলা দেখাব। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাঁতী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ করলে মান্নানের নেতৃত্বে মঞ্চে থাকা অতিথিদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমানসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে মান্নান, তুহিন ও মনোয়ার হোসেন অনুর নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রাম দা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান ও তৌকিরের অবস্থা আশংকাজনক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার