বগুড়ায় চার বছর পর আব্দুল্লাহ মন্ডল হত্যার রহস্য উন্মোচন করলো পিবিআই। হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম রুবেল (৩২)। সে জেলার গাবতলী উপজেলার চক সেকেন্দার গ্রামের বাসিন্দা।
বগুড়ার পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের দক্ষিণ হালিশহর থেকে রুবেলকে গ্রেফতারের পর হত্যার রহস্য প্রকাশ পায়।
জানা যায়, রুবেলের কাছ থেকে প্রতিবেশি নিহত আব্দুল্লাহ মন্ডলের (৫৫) বড় ছেলে আলী হাসান প্রায় ১০ লাখ টাকা ধার নেয়। এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে আলী হাসান টালবাহানা করে। এমনকি এক সময় আলী হাসানের পিতা নিহত আব্দুল্লাহ মন্ডলও খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া আলী হাসান ব্যবসার নামে সেই টাকাগুলো আত্মসাৎ করতে নিজ স্ত্রীকে দিয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর মামলা করে।
এদিকে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ায় রুবেল তার অনার্সে ভর্তি হতে পারেনি এবং মায়ের চিকিৎসা করতে না পারার কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং এর পরই হত্যার ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আকতার হোসেন জানান, জমি বিক্রি করে দেয়া টাকা ফেরত না পাওয়ার কারণে হতাশায় ভুগতে থাকে গ্রেফতারকৃত রুবেল। রুবেলের কথা না শুনে তাকে গালিগালাজ করায় সে হাসানের বাবা আব্দুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
রুবেল ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে মোটর সাইকেলের ক্লাচের তার কেনে। এরপর ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে আব্দুল্লাহ মন্ডলকে তার ঘরে একা থাকার সুযোগে খুন করে।
এ ঘটনায় গাবতলী থানা পুলিশ তদন্ত করে এজাহারনামীয় ৩ জনসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে (রুবেলসহ) অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর মামলার বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তে নামার পর পিবিআই সদস্যরা ২৬ মার্চ চট্রগ্রাম থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে এবং ২৭ মার্চ সে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের আদালতে হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করে।
বিডিপ্রতিদিন/ ই জাহান