স্থায়ী নিয়োগ প্রদানসহ ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি’র শ্রমিক-কর্মচারি ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীরা অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘট শুরু করেছে।রবিবার সকাল থেকে খনি কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তারা পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী এ শ্রমিক ধর্মঘট শুরু করে।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে খনিতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও চিকিৎসক ছাড়া কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারেনি ও খনির কর্মকর্তারাও খনি থেকে বের হতে পারেনি। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে খনি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তবে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
তবে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লি. এর এমডি প্রকৌশলী বলেছেন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রে তারা কয়লা সরবরাহ করছেন।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর লি. (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন জানান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে থাকায় শ্রমিকদের নিকট সময় চাওয়া হয় কিন্তু তারা (শ্রমিকরা) কর্তৃপক্ষের কোন কথা কর্নপাত না করে আন্দোলনে নেমেছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী আউট সোর্সিং শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান, বকেয়া ৯ মাসের বেতন-ভাতা প্রদান, প্রফিট বোনাস, ফেস বোনাসসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ ৯ মাস থেকে কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন কর্নপাত করেনি। সমঝোতার কথা বলে তালবাহনা করে সময় পার করছেন। এ কারণে গত ২৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাদের ১৩ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১৩ দফা ও খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৬ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে যৌথভাবে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মে ২০১৮/হিমেল