যশোরে বোমা হামলায় মনিরুল ইসলাম (৩৮) নামে তরুণ লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন সন্তোষ ঘোষ নামে আরেকজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত মনিরুল ইসলাম শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। সম্প্রতি তারা এখানকার জমিজমা বিক্রি করে সদর উপজেলার পাগলাদহ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। আহত সন্তোষ ঘোষ শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া এলাকার নারায়ণ ঘোষের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনিরুল ও সন্তোষ পালবাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় ৭/৮ জন সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে মনিরুলের মাথাসহ শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। সন্তোষও বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীর চলে গেলে উপস্থিত লোকজন দুইজনকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা বলেন, হাসাপাতালে আনার আগেই মনিরুলের মৃত্যু হয়। তার শরীরে বোমার স্প্রিন্টার ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর সন্তোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা বলছেন, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মনিরুলের ভাই শাহরিয়ার ওই এলাকায় জমি কেনেন। এই বাবদ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় দেড় মাস আগে তারা শাহরিয়ারের ওপরও হামলা করেছিল।
জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন জানান, নিহত মনিরুল জেলা তরুণলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আহত আহত সন্তোষ যুবলীগ কর্মী।
যশোর কোতয়ালী থানার ওসি (অপারেশন) শামসুদ্দোহা বলেন, কারা হত্যাকা- ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। খুনিদের ধরতে ঘটনার পর থেকেই পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ মে, ২০১৮/মাহবুব