বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দিনাজপুরের বাঁধগুলোর পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারে নদীর বালি আর মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই বালুর তৈরি বাঁধ বন্যার পানির স্রোত থেকে গ্রামের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমিকে কতটা রক্ষা করবে, তা নিয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী।
দিনাজপুরের ৭টি নদীতে ২০৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। গত বছরের বন্যায় ৫৮টি স্থানে বাঁধ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়। যার দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। বাঁধের পাশের এলাকাবাসীরা বলছেন, শুধু বালি দিয়ে ভরাট করে মাটির আস্তরণ দিয়ে দায় সারা কাজ করছে ঠিকাদাররা। আবারও বন্যা দেখা দিলে পানির স্রোত থেকে গ্রামগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আর অর্থের অপ্রতুলতা দেখিয়ে বাঁধগুলো এভাবে নির্মাণ এবং সংস্কার করা হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানান। শহর রক্ষা বাঁধসহ বিরল উপজেলার কিছু বাঁধ পুনঃনির্মাণ করা হলেও বাঁধ সংলগ্ন গ্রামের মানুষদের অভিযোগ এই বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি।
জানা যায়, দিনাজপুরে ভয়াবহ বন্যার প্রায় একবছর পার হলেও এখনও বাঁধ পুনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। পূর্নভবা ও গর্ভেশ্বরী নদীর শহর রক্ষা বাঁধ দ্রুত গতিতে সংস্কার কাজ জোড়াতালি দিয়ে শেষ করা হয়। দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলার ঢেপা নদীর পার্শবর্তী চকচকা, মালঝার, ডুমুরতলিসহ বেশ কয়েকটি বাঁধের সংস্কার কাজ চলছে। নদী থেকে বালি তুলেই বাঁধগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। বালি দিয়ে বাঁধ তৈরির পর দেয়া হচ্ছে মাটির আস্তরণ। ইতোমধ্যে বর্ষার আগমনে নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই বালির তৈরি বাঁধ বন্যার পানির স্রোত থেকে গ্রামের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি কতটা রক্ষা পাবে, তা নিয়ে সংশয় এলাকাবাসীর। বর্ষাকে সামনে রেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাধেঁর কাজ শুরু হলেও এ কাজে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ঢেপা নদীর বাঁধ সংস্কারে নিয়োজিত সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কিছু কাজতো হচ্ছে। মেশিন দিয়ে বালি দিচ্ছি। আর দেড় ফিট করে মাটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর জামান নয়ন নদীর বালি আর মাটি ব্যবহার করে সংস্কারের কথা স্বীকার করে জানান, বাঁধ সংস্কারের জন্য চাহিদা অনুযায়ী অর্থ না পাওয়ায় গতবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলো সঠিকভাবে নির্মাণ ও সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার