শেরপুরে মাথা জোড়া লাগানো যমজ কণ্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আলাদা হওয়া গাইবান্ধা জেলার সেই দুই শিশু তোহা ও তহুরার মতই এই দুই শিশুর জন্ম এখন শেরপুরের টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে শেরপুর শহরের মাধবপুরে ফ্যামেলি নাসিং হোমে পৌর শহরের চাপাতলী এলাকার গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের স্ত্রী রেহানা ওই যজম কন্যা শিশুর জন্ম দেন। সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। ডাক্তার জানিয়েছে দুই যমজ শিশু এখন ভাল আছে। দুজনেই হাসছে খেলছে মায়ের দুধ খাচ্ছে। তবে জোড়া লাগা একটি শিশুর তালু কাটা বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে শনিবার ওই যমজ নবজাতকের জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের দেখার জন্য প্রতিদিন শতশত মানুষ ওই নাসিং হোমে ভিড় করছে। তাদের একজনের নাম রাখা হয়েছে বেলা, আর অপর জনের নাম সুন্দরী অর্থাৎ বেলা-সুন্দরী।
এমন অস্বাভাবিক শিশু দুইটির চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের লোজনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তবে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ণ ইউনিটের প্লাাষ্টিক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. শরিফুর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নাইনা হোসেন। সোমবার দুপুরে ডাক্তার শরিফ ও তার স্ত্রী জানিয়েছে মেয়েটির চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় তারা বহন করবেন।
ইতিমধ্যেই ডাক্তার নাইনা ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞ মা রেহানা ও বেলা-সুন্দরীকে পর্যক্ষেণ শুরু করেছেন। আগামি শুক্রবার তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া হতে পারে বলে ডাক্তার শরিফ জানিয়েছে।
ডাক্তার শরিফ বলেন, গাইবান্ধার সেই তোহা ও তহুরা ন্যায় সঠিক সময়ে বেলা-সুন্দরীর বড়সড় অপারেশন হয়ত করা হতে পারে। বিষয়টি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান দেশের সনাম ধন্য ডাক্তার সামন্ত লাল সেন অবগত আছেন এবং শিশুটির চিকিৎসা সহযোগীতা দিতে তিনি সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
শিশু দুটির সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিতে ডাক্তার সেন তার অধিনস্ত ডা. শরিফকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শরিফ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন বিষয়টি মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের দৃষ্টি গোচরে আনা হবে তবে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিশু দুটিকে সুস্থ রাখা।
বিডি প্রতিদিন/১০ জুলাই ২০১৮/হিমেল