টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক ও সিংড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রামীণ সড়কে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলো সংস্কার না করায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। কোন কোন সড়কের দু’পাশ ভেঙে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার শেরকোল-নিংগইন, বালুয়া বাসুয়া মোড়- চৌগ্রাম বাসস্ট্যান্ড,জামতলী বাঁশের ব্রিজ এলাকা, আঞ্চলিক সড়কগুলোর মধ্যে জামতলী-বামিহাল সড়ক, রাতাল-বিয়াস সড়ক, বিনগ্রাম-খোলাবাড়িয়া সড়ক, রাণীপুকুর-শালমারা সড়ক, বালুয়া বাসুয়া-চলনবিলের সড়কের কিছু অংশ, শেরকোল ইউনিয়নের তেলীগ্রাম-বারৈহাটি সড়ক, ছাঁতারদিঘী ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়কসহ আরো বিভিন্ন গ্রামের পাকা সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বাসে যাতায়াতকারী উজ্জল রায় নামের এক ব্যবসায়ী জানান, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
বিপ্লব হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, জামতলী-বামিহাল সড়ক দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের হাজারও লোকজন যাতায়াত করে। কিন্তু এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না করায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জামতলীর মানিকদিঘী গ্রামের কলেজ ছাত্র এনামুল হক বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সড়কগুলো মেরামত না করায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। আমরা দ্রুত এ পরিস্থিতির অবসান চাই।
উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, ইতিমধ্যে অনেকগুলো রাস্তার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে কাজগুলো শুরু করতে পারছে না ঠিকাদাররা। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে দ্রুতই উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার