নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে এসে হাসিনা (২৯) নামে এক নারীকে আটক হয়েছে। সেই সাথে তার স্বামী পরিচয় দেয়া বাংলাদেশী যুবক মেজবাহকে (৩৩) আটক করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা এনআইডি ও অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের সময় তার আসল পরিচয় প্রকাশ পায়। সেই সাথে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রে আটক নারীর নাম হাসিনা। পরিচয়পত্রে পিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে জালাল আহমদ এবং মায়ের নাম আমিনা খাতুন। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার মোচনী গ্রামে ১০৪৮ নম্বর বাড়ি।
রোহিঙ্গা ডাটাবেজে তার আসল নাম মিনারা (৩৫)। তার পিতার বাম বদুরুস মিয়া। তিনি ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গত তিন মাসে আমরা আরও ৩ জনকে আটক করেছি। যারা ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে। আসলে ফিঙ্গারপ্রিন্টে ফাঁক ফোকর নেই। যারা রোহিঙ্গা নিবন্ধিত, তারা ধরা পড়েই যাবে। তেমনিভাবে আজ এই নারীকে আটক করা হয়েছে। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের সময় আর তার আসল পরিচয় জেনে যাই।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক শামীম আহমদ বলেন, ঘটনার পরপরই হাসিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আটকের ক্ষেত্রে আমরা কোন প্রকার ছাড় দিচ্ছি না। বিষয়টি সরকারের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। আমরা নিয়মিত অভ্যন্তরীণ তদারকি বাড়াচ্ছি, যাতে কোনোভাবেই অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএম