বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর ও রাস্তায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং প্রস্তাবিত কঠোর আইন বাতিলের দাবিতে সকাল থেকে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। এতে অচল হয়ে পড়েছে পুরো সিরাজগঞ্জ। বিপাকে পরিবহন যাত্রী সাধারন মানুষ। পণ্য পরিবহনও বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ী।
ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ছাত্রদের সাতদফা দাবিতে আন্দোলন বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা ১৫-১৬টি যানবাহন ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্র ও শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতে মালিক-শ্রমিক বৈঠক করে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে। এতে চাকরিজীবীসহ সাধারণ যাত্রীরা ও পণ্য ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার যেহেতু ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছে সে জন্য ছাত্রদের আন্দোলন বন্ধ এবং পরিবহন চালকদের সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর দাবি সাধারণ মানুষের।
সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক রহিম উদ্দিন জানান, চালকরা ইচ্ছাকৃত কোন দুর্ঘটনা ঘটায় না। আর দুর্ঘটনার জন্য চালকদের জেল-জুলুম হবে তা মেনে নেয়া যায় না। আর একটি গাড়ী দুর্ঘটনা পড়লে অন্য গাড়ী ভাংচুর করা হয়। এতে মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর সুষ্ঠ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নামদার হোসেন ও বাস শ্রমিক নেতা আনছার আলী জানান, রাস্তায় চালকদের কোন নিরাপত্তা নেই। চালকরা সবসময় নানাভাবে রাস্তায় নির্যাতিত হয়। ছাত্র আন্দোলনের নামে সিরাজগঞ্জে ১৫টি বাস-ট্রাক-সিএনজি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এতে শ্রমিকরা নিরাত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ৩ আগস্ট ২০১৮/ ওয়াসিফ