শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নিরাপত্তার অজুহাতে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো নাটোরেও বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার সকাল থেকে এই অঘোষিত ধর্মঘটে ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে নাটোর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিসহ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ বা ঢাকা সহ দূরপাল্লার রুটে কোন বাস নাটোর থেকে ছেড়ে যায়নি।
ইউনুস আলী নামে একজন চাকুরীজীবী অভিযোগ করেন, শুক্রবার বগুড়ায় তার একটি সম্মেলন ছিল। সেখানে যাবার উদ্দেশ্যে নাটোরের মাদ্রাসামোড় এলে সকাল থেকে একটি বাসও পাননি তিনি। পরে সিএনজিযোগে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে তিনি বগুড়ার দিকে রওনা হন।
দেলোয়ার হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, তিনি তার স্ত্রীকে একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানতে পারেন বাস বন্ধ। এখন তার স্ত্রীর চাকরিটা আর হবে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেয়া মালিহা খাতুন জানান, অল্পসময়ের জন্য বাড়িতে এসে শুক্রবার ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন। সকালে হরিশপুর কাউন্টারে এসে জানতে পারেন কোন বাস ছাড়া হচ্ছে না। তাই ঢাকা যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নাটোর বাস মালিক-শ্রমিকদের অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি বের করলে ভাংচুর করা হচ্ছে। এছাড়া লাইসেন্স যাচাইয়ের নামে চালক-শ্রমিকদের হয়রানি ও মারধর করা হচ্ছে। এ কারণে চালক-শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না। জানমালের নিরাপত্তার কারণে তারা বাসসহ অন্যান্য যানবাহন বন্ধ রেখেছেন।
হারন অর রশীদ নামে নাটোর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, বাস মালিক শ্রমিকরা বর্তমানে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। জান-মালের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে আবার গাড়ি চলবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা