নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় টেঁটা দিয়ে আঘাত করে মনির হোসেন(৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। সে ফতুল্লার নুরুদ্দিন মিল্কির ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকলনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করতো।
নিহতের বড় বোন মিনা আক্তার বলেন, আমাদের চার ভাই বোনের মধ্যে আমি বড় ও তারপর মনির। মনিরের প্রথম স্ত্রী ফারজানা আক্তার নুপুর সরকারি চাকুরি পাবার পর তাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর সে পারুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। পারুলেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তার প্রথম স্বামী ছিল বাবুল। পারুলের প্রথম স্বামীর সংসারে এক মেয়ে রয়েছে। যার নাম রিয়া, সে বিবাহিত।
তিনি আরও জানান, রিয়ার স্বামী সিফাত প্রায় সময়ই এই বাড়িতে এসে বলে যেত যে, পারুল মনিরের ওপর নির্যাতন করে। মনিরকে যেন পারুলের কাছে আসতে দেয়া না হয়, নাহলে তাকে মেরে ফেলবে। এর মধ্যেই আবার বাবুলের কাছে ফিরে যায় পারুল। এরপর থেকেই পারিবারিক লেনদেন নিয়ে পারুল ও মনিরের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। এদিন সন্ধ্যায় খবর পাই যে, কে বা কারা মনিরকে টেঁটা মেরেছে। পরে মানুষ দৌড়াদৌড়ি করে তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও সে জীবিত ছিল, পরে মৃত্যু হয়েছে।
খানপুর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার সরোয়ার হোসেন জানান, টেঁটাটি তার পেটের বামপাশে বিঁধেছে। এতে করে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে সে মারা যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দিদার জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে লাশ দেখতে পেয়েছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগও শুনছি, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর