বগুড়ার শেরপুরে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বিলাস বহুল এসি কোচে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় যাত্রীবেশে ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, মোবাইলফোন, নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। মঙ্গলবার রাত অনুমান দেড়টা থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে সশস্ত্র ডাকাতদলের মারপিটে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আজ দুপুরে এনা পরিবহনের ওই কোচের চালক ইমরান আলী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭আগস্ট) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম থেকে এনা পরিবহনের একটি এসি কোচ ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদের মধ্যে সদর থেকে ২৭ জন, উলিপুর থেকে ২ জন ও চিলমারী থেকে ৫ জন যাত্রী ওই বিলাস বহুল এসি কোচে ওঠেন। কোচটি রাত অনুমান দেড়টার দিকে বগুড়া শহর এলাকায় পৌঁছে। এরপর শাজাহানপুর উপজেলার শাজাহানপুর থানা পার হওয়ার পর উলিপুর ও চিলমারী থেকে ওঠা ৭জন ব্যক্তি হঠাৎ করে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে কোচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এরপর ডাকাতদল একই কায়দায় জিম্মি করে যাত্রীদের ১৬ জন যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইলফোন, নগদসহ প্রায় ১১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়। একপর্যায়ে সশস্ত্র ডাকাত সদস্যরা ডাকাতি শেষে শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কৃষ্ণপুর নামক এলাকায় নেমে যায়।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, বাস দুর্ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার