পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহণ আইন ২০১৮ দ্রুত পাস করতে সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষ করে সমতল ভূমির মতো মূল্য দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলেও যাতে ভূমি অধিগ্রহণ করা যায়। সে বিষয়ে জোড় দেওয়া হয়েছে। চলতি সংসদেই ভূমি অধিগ্রহণ আইনটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৪তম বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, রাঙামাটি সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, শিল্প মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব জিয়াউর রহমান খাঁন, সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব হুমায়ুন কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধূরী আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এরমধ্যে চুক্তির ৭০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বৈঠকে রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিলকে বাঁচিয়ে রাখতে আরো একটি নতুন পেপার মিল স্থাপন, দ্রুত কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ব্যবস্থা ও চাকরিতে পার্বত্য কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এ স্থায়ী কমিটির আরও একটি বৈঠক বাকি আছে। তখন পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার