মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরী গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর খবির মৃধা মারা গেছেন। এছাড়াও ঢাকার তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র মিরাজ ঘরামী নামের এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের কব্জি ও বাম পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার শিকদারের গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ও অর্ধশতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দফায় দফায় সংর্ঘষ বাধে। এই ঘটনায় আক্তার শিকদার গ্রুপের বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর খবির মৃধা মারা যায়।
এছাড়াও তিতুমীর কলেজের ছাত্র মিরাজ ঘরামীর বাম পায়ের গোড়ালি ও ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা কালকিনির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন আছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, কালকিনি উপজেলার বাশঁগাড়ি ইউনিয়নে সংঘর্ষের সময়ে ইউপি মেম্বার মধ্যচর গ্রামের বাসিন্দা খবির মৃধা মারা গেছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার