মামলার সাক্ষী দিতে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শাকিলকে বাস থেকে নামিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর ভাতিজা আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক সোমবার তার উপর এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শাকিল কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ প্রকাশ বধু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। আলকরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলাল বিকেলে শাকিলের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র ও নিহতের স্বজনরা জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিনের প্রাণনাশের আশঙ্কা মামলার হাজিরা দিতে সোমবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল মদিনা বাসযোগে কুমিল্লার আদালতে স্বাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়া রাস্তার মাথায় আবদুর রহমান ও আলমের নেতৃত্বে আমির হোসেন, শুভ, রিয়াজ, কফিল উদ্দিন, বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮-১০ জনের একটি দল তাকে প্রকাশ্যে বাস থেকে মুখে গামছা বেঁধে নামায়। এরপর মাইক্রোবাসযোগে ফেনীর শর্শদি দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ের শাকিলকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার শেষে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফেনী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। শুনেছি-ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, আমরা এখনও ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হইনি। তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে পরে জানাতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল