বগুড়ায় চেক জালিয়াতির মামলার আসামি লিয়াকত আলী মঞ্জুকে আটকের পর তাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানা পুলিশ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। আসামি গ্রেফতারে গিয়ে পুলিশ বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ভাঙচুুর ঘটেনি বলে দাবি করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মোবারক ও পলাশ একই এলাকার খামারপাড়া গ্রামে যায়। তারা চেক জালিয়াতি একাধিক মামলার আসামি লিয়াকত আলী মঞ্জুকে আটক করে। এসময় তার আত্মীয়-স্বজন পুলিশকে বাধা দিয়ে লিয়াকতকে ছিনিয়ে নেয় এবং দুই পুলিশকে আটকে করে রাখে। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে এবং নারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো একই এলাকার মাহমুদুল হক, মঞ্জুয়ারা মিনা, মোত্তাকিয়া আকতার ও রিতা আকতার। সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মোকামতলা ফাঁড়ির এএসআই পলাশ বাদী হয়ে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যরা এলাকায় গিয়ে আসামি গ্রেফতারের নাম করে কয়েকটি বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করেছে। পুলিশি আতংকে মঙ্গলবার স্থানীয়রা বাড়ি ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাতেই ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত দেড় শতাধিক নারী-পুরুষকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে ওই গ্রামে কোন পুলিশ যায়নি। ভাংচুরের কোন প্রশ্নই উঠে না।
বিডি প্রতিদিন/৯ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল