টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাস চালক জাহাঙ্গীরকে থাপ্পরের জের ধরে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়েছে শ্রমিকরা। শুধু তাই নয়, ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের উপর বাস রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় তারাকান্দি-ঢাকা সড়কের সকল ধরনের যান চলাচল। এক ঘন্টা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। মঙ্গলবার দুপুরে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে যানজট হচ্ছে নিত্যদিনের ঘটনা। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ভূঞাপুর থানার এক পুলিশ কনস্টেবল বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্ব পালন করছিল। ভূঞাপুর বাস কাউন্টার থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হৃদয় পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল। ওই বাসের পিছনে দিগন্ত পরিবহনের ঢাকাগামী আরেকটি বাস ছিল। হৃদয় পরিবহনের চালক জাহাঙ্গীর পিছনের বাসটিকে সাইড না দেয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ কনস্টেবল বাস চালক জাহাঙ্গীরকে পিছনের বাসটিকে সাইড দিতে বার বার অনুরোধ করলেও সে তা আমলে নেয়নি। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ওই পুলিশ কনস্টেবল ক্ষিপ্ত হয়ে বাস চালক জাহাঙ্গীরকে থাপ্পর মারে। পরে জাহাঙ্গীর চালকের আসন থেকে উঠে এসে অন্য শ্রমিকদের সাথে নিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে বাস চালক জাহাঙ্গীরকে থাপ্পরের বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের উপর বাস রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় তারাকান্দি-ঢাকা সড়কের সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সুরুজ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিঞা বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শ্রমিকদের সাথে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যা পরবর্তীতে সমাধান হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৯ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল