বাগেরহাটের শরণখোলার বগী এলাকায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন উপকূলীয় বেড়িবাঁধের (সিইআইপি) প্রকল্প প্রায় ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিন শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পাঁচ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ ।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দু’দিন আগে থেকেই অল্প অল্প করে বাঁধ ভাঙতে থাকে। মঙ্গলবার ভোর রাতে বলেশ্বর নদীর জোয়ারের তোড়ে বিশাল অংশ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে।
বগী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম মুন্সী (৬৫) জানান, ব্যাংক থেকে তিনি লাখ টাকা লোন নিয়ে আমনের চাষ করেছেন। বাঁধ ভেঙে তাঁর সব শেষ হয়ে গেছে।
চাষী জাকারিয়া (৩৫), আফজাল তালুকদার, কামাল পঞ্চায়েত (৩৮) জানান, বাধ ভেঙে বগী, বগী দশ ঘর ও বগী সাত ঘর গ্রামের প্রায় ৫০০ একর জমির আমন ক্ষেত পানির সাথে ভেসে আসা কচুড়িপানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে পাঁচ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুপুরে বহু পরিবারে রান্নাবান্না হয়নি।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাতের জোয়ারে আরো পানির চাপ বেশি হবে। বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাধের অন্তত ১০টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও নিরুপন করা হয়নি।
সিইআইপি প্রকল্পের স্থানীয় প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার সময় মোবাইল ফোনে বলেন, ভাঙন এলাকায় রিংবাধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/৯ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল