মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট নিউ জমজম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতক মৃতুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ঘটলেও আজ বুধবার বিকেলে জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ মৃতুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল মালিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তিনি দাবি করেছেন 'আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে'।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের মন্তোষ সরকারের স্ত্রী মঞ্জু সরকারের প্রসববেদনা হলে টেকেরহাট নিউ জমজম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের মালিক পংকজ কুমারের সাথে যোগাযোগ করে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে সিজারের জন্য ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে সিজার করলে জীবিত পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
মঞ্জু সরকারের স্বামী মন্তোষ জানান, এ সময় নবজাতকের কান্নার শব্দ ওটির বাহির থেকে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতাল কর্তৃপ নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হট্রগোল শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল শাহ আলমকে খবর দেয়। সে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সিজার ফাইলে ভর্তি ফরম পুরণ ছাড়া বাকি কাগজপত্রে ডাক্তার বা সহকারীদের কোনো নাম ঠিকানা নাই।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপরে একজন পংকজ কুমার মন্ডল জানায়, ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম (মনি) সিজার করেছে। এতে আমাদের কোন অবহেলা নেই। আল্লার মাল, আল্লাহ নিয়ে গেছে। আমাদের কিছুই করার নেই। এই ঘটনাটি যাতে কেউ না জানে, সেটা আপনারা ব্যবস্থা করেন।’
প্রসূতি মঞ্জু সরকারের দেবর সন্তোষ সরকার জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার ভাতিজার মৃতু হয়েছে। আমি এ ঘটনার প্রকৃত বিচার চাই। এভাবে যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার