আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রাতের আধারে এক ব্যক্তির ৪ একর জমির ফুলকপি নষ্ট করে দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি করেছেন ফুলকপি চাষী মোঃ মাহবুবুর রহমান বাচ্চু। ফসল নষ্ট হওয়ায় এখন তিনি সর্বশান্ত এবং পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় রইল না বলে জানান।
চাষী মোঃ মাহবুবুর রহমান বাচ্চু জানান, ৩ মাস আগে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের নর্তডাঙ্গী গ্রামের মোঃ আব্দুর রৌফ'র নিকট হতে তার দলিলকৃত মালিকানার একই ইউপি’র চাউনিয়া গ্রামের ৫ একর জমি বছরে প্রতিবিঘা জমি ২৪হাজার টাকা দরে চুক্তি নেই। ৫৫দিন আগে জমিতে ফুলকপি’র চারা বপন করি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৮লক্ষ টাকা। সময় মতো যত্নের কারণে ফুলকপি গাছ সুন্দর হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু হবে। কিন্তু গত বুধবার জমিতে দেখি গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা কৃষি অফিসকে অবহিত করি। কৃষি অফিস পরিদর্শন করে আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি গাছের পাতা পচন এবং গাছ মরে যাওয়া শুরু করেছে।
জমির মুল মালিক মোঃ আব্দুর রৌফ জানান, জমিতে বিগত ১০বছর ধরে জমির আশেপাশের মানুষ চাষাবাদ করতো। গত ১বছর পুর্বে বীরগঞ্জের সাতোর ইউপি’র মোঃ শাহাজাহান নামে একজন চুক্তি নিয়েছিল। পরে তার কাছে থেকে ফেরত নিয়ে গত ৩ মাস আগে তার প্রতিবেশি মোঃ মাহবুবুর রহমান বাচ্চুকে চুক্তিতে চাষাবাদ করতে দেয়। আমার কাছে মনে হয়েছে এ কারণে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েও এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। যদিও ফসলের সাথে এ ধরণের শত্রুতা মোটেও কাম্য নয়।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার শরৎ চন্দ্র রায় জানান, আগাছা নাশক স্প্রে করে ফুলকপির ফসল নষ্ট করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি নিন্দনীয় এর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষককে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগাছা নাশক স্প্রে করে ফসল নষ্ট করা হয়েছে এটি নিশ্চিত। তবে কিভাবে কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রেখেছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর