ময়মনসিংহের ফুলপুরে পাড় না রেখে ফিশারী ও পুকুর খনন করায় রোডস এন্ড হাইওয়ের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ভেঙে সরু ও চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ছে গ্রামের কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো। বেশ কিছু রাস্তায় ফাটল ধরাসহ কিনারার গাছগাছালী ও বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে গ্রামীণ জনপথ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-শেরপুর রোডে মোকামিয়া বাজার এলাকায়, চানপুর মোড়ে, ভাইটকান্দি বাজারের নিকটে ও বিভিন্ন জায়গায় পাড় না রেখে পুকুর খনন করায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে রোডস এন্ড হাইওয়ে। এছাড়া ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়ক ঘেঁষে সরচাপুর ও বীরগুছিনা এলাকার অবস্থা আরো করুণ। তারাকান্দা এলাকায় সুরুজের বাড়ির সামনে পাড় না রেখে পুকুর খনন করায় বটতলা থেকে বগিরপাড়ার পাকা রাস্তাটি উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পুকুরে ঢলে পড়েছে।
ফুলপুর থেকে বালিয়ামুখি পাকা রাস্তাটি পাগলা নামক স্থানে, ঘোমগাঁয়ে ও বালিয়ায় ফিশারীর কারণে ভেঙে গেছে। এছাড়া সরচাপুর থেকে বাতিকুড়ার রাস্তা, ফুলপুর থেকে বাহাদুরপুর, শুনই ঘাটপাড় ও পয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় রোডে বিভিন্ন জায়গায় ফিশারীর কারণে রাস্তা ভেঙে গেছে। গাছগাছালী পুকুরে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছে এমনকি বিদ্যুতের খুঁটিও হেলে পড়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে পথচারীরা।
এসব বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বলেন, পাড় না রেখে পুকুর খননের ফলে আমাদের প্রচুর রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে বহুবার সতর্ক করে আসলেও একগুঁয়েমী করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর ফিশারীওয়ালা। তাদের কারণে আমরা রাস্তা টিকাতে পারছি না।
ফুলপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ফিশারীওয়ালাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য তেমন কোন আইন না থাকায় আইন প্রণনয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আইনটি হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর