ঝালকাঠির রাজাপুরে চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন উপজেলা সদরের বাসিন্দারা। গত একমাসে শুধু উপজেলা সদর ও এর আশপাশের এলাকায় ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির অধিকাংশ ঘটনাই শুক্রবার জুমার নামাজ ও সন্ধ্যার সময় ঘটেছে।
উপজেলা সদরে দিন-দুপুরে এভাবে চুরি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
জানা যায়, সর্বশেষ গত শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দিনদুপুরে উপজেলা সদরের বাঘরি বাজার এলাকায় মো. বাবুল হোসেনের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের বদুরতলা সড়কে ব্যবসায়ী মনির হোসেনের বসতঘরে সন্ধ্যার দিকে চুরি হয়। এর আগের সপ্তাহে উপজেলা সদরের গোরস্থান সড়কের মো. সোহেলের বসতঘরে সন্ধ্যার সময় চোর হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
এর আগে উপজেলা সদরের থানা সড়কের প্রভাষক মতিউর রহমানের বাসায় দুপুরে চুরির ঘটে। একই দিন বাজার এলাকার একটি কসমেটিক্সের দোকানে শাটার ভেঙে চুরি হয়। এসব চুরির সময় বসতঘর ও দোকানে কোনো লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে চুরি করে চোরের দল। ঘটনার শুরু নভেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার (২ নভেম্বর) জুমার নামাজের সময় উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড়ের আলতাব হোসেনের মেসার্স লামিয়া স্টোরে চুরি মধ্যদিয়ে।
এ ছাড়া উপজেলা সদরের আশপাশের এলাকায় যেমন উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পেছনে চটিখোলা এলাকায়, ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ও আকসুর ক্লাব এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে শুধু নভেম্বর মাসেই ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় অধিকাংশ ভুক্তভোগী থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, এ ধরনের চুরি ঠেকাতে বাসিন্দাদের আরো সচেতন হতে হবে। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল