কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।এসময় আটক ২ মাদক পাচারকারীকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আটককৃতরা হচ্ছেন,টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্ট্রার্ড শরনার্থী ক্যাম্পের ২৬নাম্বারের বাসিন্দা রশিদের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন(৪২),টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবির পাড়ার মোঃকবির আহম্মদের ছেলে মোঃ সাবের ইসলাম(৩১)।
টেকনাফ-২ বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান,বৃহস্পতিবার বিকেলে দমদমিয়া বিওপি কর্মরত হাবিলদার শ্রী নকুল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল দমদমিয়া চেকপোষ্ট এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন তল্লাশীর কাজে নিয়োজিত ছিল। টেকনাফ হতে হ্নীলাগামী একটি সিএনজি চেকপোষ্টে পৌঁছালে টহলদল সিগন্যাল দিয়ে থামায়। সিএনজিতে আরোহিত যাত্রীদের তল্লাশীকালীন একজন যাত্রী আচরন সন্দেহ হওয়াতে তার রক্ষিত ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভেতর অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ২৯ লাখ সাড়ে ৫৩ হাজার টাকার মূল্য মানের ৯হাজার ৮৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী নারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া একইদিনে বিকেলে ব্যাটলিয়ানের অধীনস্থ শীলখালী অস্থায়ী চেকপোস্টে কর্মরত হাবিলদার মোঃবাচ্চু মৃধার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল শীলখালী চেকপোষ্ট এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন তল্লাশীর কাজে নিয়োজিত ছিল। টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজি চেকপোষ্টে পৌঁছালে টহলদল সিগন্যাল দিয়ে থামায়। সিএনজিতে আরোহিত যাত্রীদের তল্লাশীকালীন একজন যাত্রীর হাতে থাকা ব্যাগে ভেতর থেকে ২৭ লাখ ৯৯০০ টাকার মূল্য মানের ৯ হাজার ৩৩ পিস ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে শীলখালী এলাকায় শালবাগানের ভেতর ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় হতে পারে। উক্ত সংবাদে শীলখালী অস্থায়ী চেকপোস্টে কর্মরত হাবিলদার মোঃবাচ্চু মৃধার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল শালবাগানে যায়। টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। বাগানে তল্লাশী চালিয়ে একটি ঝোঁপের ভেতর হতে কালো রংয়ের একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে প্যাকেটটি খুলে গণনা করে ৩০ লাখ টাকার মূল্য মানের ১০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের দখলে রাখার দায়ে ৯৩ পিস ইয়াবাসহ আটক আসামিদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২৮হাজার ৭৮৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত