“বৈষম্য অপবাদ ও কুসংস্কার, কুষ্ঠ রোগের প্রতি না থাকুক আর” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে র্যালি শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ধানজুড়ি কুষ্ঠ কেন্দ্র, লেপ্রা বাংলাদেশ, ইউকেএইড ও আরডিআরএস-এর সহযোগিতায় এ বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ২০১৮ সালে দিনাজপুর জেলায় ২ হাজার ৫শত ৩৪জন রোগীর মধ্যে মোট ২৮৬জন রোগী পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আহাদ আলী। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রায়হান সাহিদ, ধানজুড়ি কুষ্ঠ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার মাইকেল ডি ক্রুজ, প্রজেক্ট সুপার ভাইজার আগাপিত টুডু, লেপ্রা বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার পল টুডু প্রমূখ।
সভায় বক্তারা কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে বলেন, কুষ্ঠ জীবাণুঘটিত একটি মৃদু সংক্রামক রোগ।“মাইকো-ব্যাকটেরিয়াম লেপ্রী” নামক জীবাণু দ্বারা কুষ্ঠ হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চামড়া ফ্যাকাশে/লালচে অবশ্য যে কোনো দাগের লক্ষণ, কিন্তু ধবল বা চটকের মত সাদা দাগ কুষ্ঠ নয়, এলার্জিও মত লাল চাকা চাকা ও ফোলা দাগ, চামড়ার দানা, গুটি ও কানের লতি মোটা হওয়া, দাগ ছাড়া হাত-পায়ে বোধশক্তি না থাকা, ব্যাথাহীন ঘা ও কারণ ছাড়া ফোস্কা পড়া কুষ্ঠ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। আধুনিক এম,ডি,টি ঔষধ ৬ মাস সেবনে অথবা ১২ মাসের চিকিৎসায় কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন