ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এরপরও যদি ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর শিশুর বমি বমি ভাব হয়, এতে অভিভাবকদের না ঘাবড়ে নিকটস্থ স্বাস্থকেন্দ্রে সেবা নিতে আহবান জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নগরবাসীর প্রতি এ আহবান জানান মেয়র।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনকে সরকারের সবচেয়ে সফল উদ্যোগ দাবি করে মেয়র বলেন, ‘শিশু মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওনোর প্রয়োজন রয়েছে। এই ক্যাপসুলে শিশুর অন্ধত্ব রোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্ভব।’
সভায় মেয়র মোস্তফা জানান, ‘আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ২৯৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এই কার্যক্রম সফল করতে অতিরিক্ত আটটি ভ্রাম্যমাণ টিমের বাইরেও প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির ৭৭ সুপারভাইজারসহ ৩৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিটি এলাকার নির্দিষ্ট পয়েন্টে পয়েন্টে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৯ হাজার ২৩৩ জন শিশুকে নীল রং এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৬ হাজার ৯৯৬ জন শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে চার মাস আগে এই ক্যাপসুল খেয়েছে এমন শিশুদের আর খাওয়ানো হবে না।’
সভায় রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব আবুল সালেহ মো. মুসা জঙ্গী। এসময় মেয়রের একান্ত সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিডসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার