রেলের জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে নাটোর রেলস্টেশনকে দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে দখলমুক্ত জায়গায় পুনরায় স্থাপনা তৈরি হলে দখলদারসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থাপনার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
বুধবার শহরের রেলস্টেশন এলাকায় রেল পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নিয়ে দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা রেজুয়ানুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশীদ, নাটোর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী ও রেলের ভূ-সম্পদ বিভাগের কানুনগো মহসীন আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
নাটোর রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে প্রবেশপথে রেলের জায়গার উপর নির্মিত ঈমান-একতা স্তম্ভের এক পাশের চায়ের দোকান, কাঁচা সবজির বাজার সংলগ্ন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দোকান, স্টেশনের পশ্চিমে চকবৈদনাথ চামড়াপট্টির সামনে খাবার দোকান, ফলের আড়ত, রেলগেইট সম্মুখে চায়ের দোকান, পুরাতন শীত বস্ত্রের দোকানসহ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় পুরাতন শীত বস্ত্র বিক্রেতাদের নিকট ভাড়া দেয়া লেভেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেইটম্যানদের জন্য নির্মিত ঘর থেকে তাদেরও উচ্ছেদ করা হয় এবং মালামাল অপসারণ করা হয়।
অধিকাংশ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কোনো প্রকার আগাম নোটিশ ছাড়াই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া ঈমান-একতা স্তম্ভসহ অনেক পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি।
রেলওয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশীদ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের ১৫ দিন আগে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তারা সাড়া না দেয়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন