ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্ব কয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান রানার বিরুদ্ধে স্কুলের অভ্যন্তরে নিয়মিত মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (টিও) কাছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) অনিতা রানী দত্ত স্কুলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তদন্তে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান রানা স্কুলের ভেতরে ও বাহিরে নিয়মিত মাদক (গাঁজা) সেবন করেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও কোমলমতি শিশুদের ক্ষতি হচ্ছে। তাকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি মাদক সেবন বন্ধ না করে উল্টো এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখান। এ ঘটনায় ২২ জন অভিভাবক ও এলাকাবাসী টিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা জানান, ‘মনিরুজ্জামান রানা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের তার চাকর মনে করেন। তিনি আমাদের সাথে এমন আচরণ করেন যা কোনো সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ করে না।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান মৃধা বলেন, প্রধান শিক্ষক রানা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্রের নামে ১০০ টাকা ও ভর্তি বাবদ ৪০০ টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়াও স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লান (স্লিপ) প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ নামমাত্র কাজ করে ও ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে লোপাট করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত।
অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক মনিরুজ্জামান রানা বলেন, ‘আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না। আমি কোনো বক্তব্য দিবো না।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন